Main » 2012 » May » 21 » ভূমিকম্প মোকাবিলায় নিজে প্রস্তুত থাকুন,অন্যকেও প্রস্তুত রাখুন।
7:48 PM
ভূমিকম্প মোকাবিলায় নিজে প্রস্তুত থাকুন,অন্যকেও প্রস্তুত রাখুন।

কিছুক্ষণ আগে হয়ে গেল ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প।ইদানিং কিছুদিন পরপরই ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে।বিশেষজ্ঞদের মতে এটি বড় ধরণের কোন ভূমিকম্পেরই পূর্বাভাস।অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত ভূমিকম্পের কোন পূর্বাভাস দেওয়া যায় না বলে এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।

ভূমিকম্প বলতে পৃথিবীপৃষ্ঠের অংশবিশেষের হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন বা আন্দোলনকে বোঝায়।

ভূমিকম্পের কারণ
সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে।
ভূপৃষ্ঠজনিত
আগ্নেয়গিরিজনিত



কখনো কখনো আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ও গলিত লাভা উৎক্ষিপ্ত হবার কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে।
শিলাচ্যুতিজনিত

বাংলাদেশের ভূমিকম্প বলতে আসলে বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকার ভূমিকম্পকে বোঝায়। কারণ বাংলাদেশ আসলে ভারত ও মায়ানমারের ভূঅভ্যন্তরের দুটি ভূচ্যুতির (faultline) প্রভাবে আন্দোলিত হয়, কেননা বাংলাদেশ, ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মার (মায়ানমারের) টেকটনিক প্লেটের মধ্যে অবস্থান করছে। ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেট দুটি (১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে) দীর্ঘদিন যাবত হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে আছে, অপেক্ষা করছে বড় ধরণের নড়াচড়ার, অর্থাৎ বড় ধরণের ভূ-কম্পনের। বাংলাদেশে ৮টি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে, যথা: বগুড়া চ্যুতি এলাকা, রাজশাহীর তানোর চ্যুতি এলাকা, ত্রিপুরা চ্যুতি এলাকা, সীতাকুন্ড-টেকনাফ চ্যুতি এলাকা, হালুয়াঘাট চ্যুতির ডাওকী চ্যুতি এলাকা, ডুবরি চ্যুতি এলাকা, চট্টগ্রাম চ্যুতি এলাকা, সিলেটের শাহজীবাজার চ্যুতি এলাকা (আংশিক-ডাওকি চ্যুতি) এবং রাঙামাটির বরকলে রাঙামাটি চ্যুতি এলাকা।

সাল ও তারিখ    স্থান    ভূমিকম্পের মাত্রা
(রিখটার স্কেল)
১৮৮৫, ১৪ জুলাই   মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ    ৭+
১৯১৮, ৮ জুলাই   শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশ    ৭.৬
১৯৩০, ২ জুলাই    ধুবড়ি, আসাম, ভারত    ৭.১
১৯৩৪, ১৫ জানুয়ারি    বিহার, ভারত    ৮.৩
১৯৩৪, ৩ জুলাই    আসাম, ভারত    ৭.১
১৯৫০, ১৫ আগস্ট    আসাম, ভারত    ৮.৭
১৯৯৭, ২২ নভেম্বর    চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ    ৬.০
১৯৯৯, জুলাই    মহেশখালি দ্বীপ, বাংলাদেশ    ৫.২
২০০২    বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ৪০ বার হয়    -
২০০৩, ২৭ জুলাই    বরকল উপজেলা, রাঙামাটি, বাংলাদেশ    ৫.১
বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকার ৮৫ বছরের ভূমিকম্পের সংক্ষিপ্ত রেকর্ড।

undefined

প্রাকৃতিকভাবেই কার্বন চক্রের প্রভাবে ভূমিকম্প হয়ে থাকে, বাংলাদেশেও তার ব্যতয় হয়না। এদেশের ভিতরে ও পার্শ্ববর্তি এলাকার বিগত প্রায় ২৫০ বছরের ভূমিকম্পের নথিভুক্ত তালিকা পাওয়া যায়। এ তালিকা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ১০০’রও বেশি ভূমিকম্প; তন্মধ্যে ৬৫টিরও বেশি ঘটেছে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের পরে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিগত ৩০ বছরে (পরিপ্রেক্ষিত ২০০৪) ভূমিকম্প সংঘটনের মাত্রা বেড়েছে।

বাংলাদেশে ৮টি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে, যথা: বগুড়া চ্যুতি এলাকা, রাজশাহীর তানোর চ্যুতি এলাকা, ত্রিপুরা চ্যুতি এলাকা, সীতাকুন্ড-টেকনাফ চ্যুতি এলাকা, হালুয়াঘাট চ্যুতির ডাওকী চ্যুতি এলাকা, ডুবরি চ্যুতি এলাকা, চট্টগ্রাম চ্যুতি এলাকা, সিলেটের শাহজীবাজার চ্যুতি এলাকা (আংশিক-ডাওকি চ্যুতি) এবং রাঙামাটির বরকলে রাঙামাটি চ্যুতি এলাকা।বাংলাদেশ, ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মার (মায়ানমারের) টেকটনিক প্লেটের মধ্যে অবস্থান করছে। ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেট দুটি (১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে) দীর্ঘদিন যাবত হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে আছে, অপেক্ষা করছে বড় ধরণের নড়াচড়ার, অর্থাৎ বড় ধরণের ভূ-কম্পনের।

১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়[৩][৪] এবং ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে হয় ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প[৫]। এমনকি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BUET) মানমন্দিরে জানুয়ারি ২০০৬ থেকে মে ২০০৯ পর্যন্ত ৪ বছরে, রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার ৮৬টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে ৫ মাত্রার চারটি ভূ-কম্পনও ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানমন্দিরে মে ২০০৭ থেকে জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়, তন্মধ্যে ৯টিরই রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলো ৫-এর উপরে, এবং সেগুলোর ৯৫%-এরই উৎপত্তিস্থল ছিলো ঢাকা শহরের ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে।[১] অতীতের এসব রেকর্ড থেকে দেখা যায় ভূমিকম্পের মাত্রা না বাড়লেও ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভূমিকম্প সংঘটনের হার বেড়েছে[৪], অর্থাৎ ঘন ঘন স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। মতবিরোধ থাকলেও[৬] অনেক ভূতাত্ত্বিক ছোট ছোট ভূমিকম্প সংঘটন বড় ধরণের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বলে উল্লেখ করেন।অতীতের এসব রেকর্ডকে প্রাধান্য দিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন যেকোনো সময় বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।

undefined

ভূমিকম্পের আগে,কালীন এবং পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে জানতে এই বাংলা বইটি ডাওনলোড করে নিন।

  • জনস্বার্থে পোস্টটি সবার সাথে শেয়ার করুন।
  • [তথ্য:উইকি ও ই-তথ্য কোষ]

Views: 832 | Added by: Imad | Rating: 2.5/2
Total comments: 3
2 শোভন  
0
ভাল পোস্ট। আপনার ব্লগের জন্য একটা পরামর্শ, কমেন্টে ক্যাপচা রাখলে অনেক পাঠক বিরক্ত হয়।

3 Imad  
0
আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।ক্যাপচাটা শুধু আনরেজিষ্টার ইউজারদের জন্য।রেজিষ্টার করলে আর ক্যাপচা লাগে না। biggrin

1 Extreme Visitor  
1
NiCe... :)

Only registered users can add comments.
[ Registration | Login ]
ক্যালেন্ডার
«  May 2012  »
SuMoTuWeThFrSa
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031
আর্কাইভ
শেয়ার করুন
মতামত দিন
Rate my site
Total of answers: 26
অনলাইনে যারা

Total online: 1
Guests: 1
Users: 0